ফেলে দেয়া চা-পাতা( টি-ব্যাগ) এর ১০টি আশ্চর্য ব্যাবহার। Bangla Tips and Tricks.
চুলেঃ আপনার চুল যদি মাঝে মাঝে হালকা তেলতেলে হয় তবে আপনি তাতে চায়ের পাতা ব্যবহার করে দারুন ফলাফল পেতে পারেন। ব্যবহার করে শুকিয়ে নেওয়া ৩ থেকে ৪টি টি-ব্যাগ আধা ঘন্টার জন্য একটু পরিমাণমতো গরম পানিতে ডুবিয়ে রেখে সে পানিতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করার পর ভিজা অবস্থায় মাথায় ব্যবহার করুন এবং কিছুক্ষণ পর তা থেকে পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। আশা করি নিজেই নিজের চুল দেখে অবাক হয়ে যাবেন
পোকামাকড় কামড়ালেঃ পোকামাকড়ের কামরের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে রক্ষাকর্তা হিসেবে আসতে পারে আপনার ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখা একটি টি ব্যাগ। পোকার কামড়ানো জায়গায় ব্যবহৃত টি ব্যাগ দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে রাখলে চুলকানো কমে যায় এবং একই ভাবে সানবার্নের জ্বালাপোড়া কমাতেও এই টি-ব্যাগ কার্যকরী।
জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেঃ প্রচণ্ড গরমে সারাদিন ঘেমে নিয়ে পরিশ্রম করে বাসায় ফিরলে জুতায় চামড়ার সাথে মিশে ঘামের দুর্গন্ধ হতেই পারে। আপনি নিশ্চয়ই পরবর্তী দিন দুর্গন্ধযুক্ত জুতা পরে সকালটা শুরু করতে চাইবেন না। তাই রাতের বেলা শুকিয়ে নেওয়া একটি টি ব্যাগ জুতার ভিতর দিয়ে রাখুন এবং সকালবেলা দেখুন যাদু। জুতাজোড়া দেখবেন দুর্গন্ধ মুক্ত হয়ে যাবে।
কার্পেটঃ আপনার ড্রইং রুমের দামি কার্পেট টি হয়তো হালকা দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে কিন্তু বারবার পরিষ্কার কর গন্ধটি যাচ্ছে না। আপনার চিন্তা দূর করতে আপনার পূর্বের শুকিয়ে নাওয়া চায়ের পাতা আবার কাজে লাগবে। কার্পেটটিতে কিছু চায়ের পাতা ছড়িয়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষন ফেলে রেখে তারপর ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন এবার কার্পেট পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধও চলে গেছে।
গোসলের পানিতেঃ আপনি গোসলের পানিতে শুকিয়ে নেওয়া চায়ের পাতি ব্যবহার করে চমকপ্রদ উপকার পেতে পারেন। চায়ের পাতা তে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার স্কিন ভালো রাখতে সাহায্য করবে এবং ক কেমোমাইল বা জেসমিন চায়ের পাতা আপনার গায়ে একটু শুঘ্রান নিয়ে আসবে। যা আপনাকে সারাদিন চনমনে এবং রিফ্রেশ রাখতে সহায়তা করবে
দুর্গন্ধ দূর করতেঃ আমরা আগে থেকেই জানি যে চায়ের পাতা দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে তাই ঘরের যেখানে দুর্গন্ধ থাকে, যেমন ধরুন বিড়াল থাকার ঝুড়ি কিংবা ময়লার বাক্স। সেখানে কয়েককটি টি-ব্যাগ রেখে দিলে তা দুর্গন্ধ শুষে নেয় এবং ঘরের বাতাস দুর্গন্ধমুক্ত ও সতেজ করে তোলে। সেকারনে আপনি চায়ের পাতাকে প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনারও বলতে পারেন।
হোম প্লান্ট বা বাগানে: চায়ের পাতা শুকিয়ে নিয়ে বাসার ভিতরে থাকা ছোট ছোট গাছের গোড়ায় দিলে, তা গোড়ায় জন্মানো ফাঙ্গাস থেকে গাছের গোড়া রক্ষা পায়। ব্যাবহারের নিয়ম হচ্ছে শেদ্ধ পানিতে কিছু ব্যাবহৃত চায়ের পাতা ছেড়ে দিয়ে তা ফুটানো। এবং পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে গাছের গোড়ায় সাধরন পানির মতো ব্যবহার করা। এছাড়া বাগানে যদি গোলাপের গাছ থাকে তবে তার গোড়ায় শুকনো চায়ের পাতা প্রয়োগ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
ভাতের মধ্যেঃ আমরা সাধারণত সাদা ভাত, কোন অকম ফ্লেভার ছাড়াই খেয়ে থাকি। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে মানুষ ভাতের সাথে বিভিন্ন ফ্লেভার মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। যাদের চালের গন্ধ ততটা ভালো লাগে না তারা চালের সাথে একটি পুরনো চায়ের ব্যাগ পানি সহ রান্না করার জন্য চুলায় বসিয়ে দিন। তখন আপনি দেখবেন ভাতের মধ্যে একটি সুন্দর ঘ্রাণ চলে এসেছে এবং খেতেও আলাদা রকম একটি শ্বাদ পাচ্ছেন।
থালা-বাসন পরিস্কার করতেঃ চায়ের পাতা অনেকগুলো গুনের মধ্যে একটি হচ্ছে এটি ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। তাই রাতের জমানো থালা-বাসন খুব সহজেই আপনি চায়ের পাতার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে পারেন। সিংকে পানি জমিয়ে তাতে থালা-বাসন গুলো চা পাতা সহ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকাল বেলা দেখতে পাবেন যে আপনি খুব সহজেই কোন ডিশওয়াশার ছাড়াই আপনি প্লেটের দাগ ময়লা তেল চর্বি তুলে ফেলতে পারছেন।
আশাকরি চায়ের পাতি চা বানানোর পরেও এখন আর ফেলনা থাকবেনা। বরং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করবেন। আরো কোথাও যদি চায়ের পাতা ব্যাবহার করা যায় তবে কমেন্ট করে জানান।