বেশী পানি পান করা কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? Is it healthy to drink too much water?
আমরা প্রায়ই শুনি “প্রচুর পানি পান করা স্বাস্থের জন্য ভাল”।কিন্তু এই বাক্যটি কি আসলেই সম্পূর্ণ ঠিক?? আসুন জেনে নেই কখন পানি পান করা উপকারি আর কোন নিয়ম গুলো আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। আশাকরি পদ্ধতি গুলো অনুসরন করলে ভাল ফল পাবেন। তবে , আপনার একটা জিনিশ অবশ্যই পাওনা যদি আপনি দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করে থাকেন । তা হচ্ছে – শাবাস !!
আসুন জেনে নেই নিয়ম গুলো-
খাবারের সময় পানিঃ আমরা অনেকেই খাবার সময় গ্লাস ভরে পানি নিয়ে খেতে বসি। একবার মুখে খাবার দেই আবার একটু পর পানি । এমন করতে করতে দেখা যায় আধা প্লেট ভাত শেষ করতে একগ্লাস পানি লেগে যায়। কিন্তু আপনি খাবারের মাঝে যদি বেশি বেশি পানি পান করেন তবে তা আপনার পরিপাক ক্রিয়ায় ব্যঘাত ঘটার কারন হয়ে দাঁড়ায়। খাবারের মাঝে বার বার পানি পান করলে আপনার শরীর গেস্ট্রিক এসিড এর সক্রিয়তার কারনে ভরা বা ফাপা অনুভব করায়। তাই আমরা প্রায়ই দেখি যারা খাওয়ার মাঝে কিছুক্ষন পর পর পানি খান তারা অল্প খাবার গ্রহন করেই হাপিয়ে উঠেন । তাই সবচেয়ে ভাল হচ্ছে খাবারের কিছুক্ষন পূর্বে পানি পান করে নিন । এবং খাবারের কিছুক্ষণ পর আবার পানি পান করুন। আর খাবারটি যদি রাতের খাবার হয় তবে খাবার শুরুর ঘন্টাখানেক আগে দুই গ্লাস পানি পান করে নিলে বিশেষ উপকার পাবেন।
ব্যায়ম এবং পানিঃ আমরা অনেকেই আমাদের আশেপাশে দেখি যারা জিমে গেলে বা জগিংয়ে গেলে সাথে একটা পানির বোতল নিয়ে যান । এক দিকে ঘাম ঝরান এবং অন্যদিকে পানি পান করে নিজে নিজে খুশি অন যে “যাক বাবা! ঘেমে যে পানি বের হইলো তার শুন্যতা পূরন কইরা ফালাইলাম” । কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এটা ভুল প্রেক্টীস। এ সময় পানি পান করার চেয়ে বিভিন্ন খনিজ উপাদন সমৃদ্ধ ডাবের পানি বেশি উপকারী।
দাঁড়িয়ে পানি পান করাঃ তাড়াহুড়ো বা যে কারনেই হোক আমরা প্রায়ই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। হয়তো আমরা ভাবি , “এতে আর তেমন কি ?” কিন্তু আপনি যখন দাঁড়িয়ে পানি পান করছেন তা অন্য সময়ের তুলনায় জলদি পান করছেন ,সে কারনে ঐ অবস্থায় অক্সিজেন শোষন করছেন বেশি যা হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী আছেন তারা হয়তো জানেন ইসলামও দাঁড়িয়ে পানি পান করাকে নিরুৎসাহিত করেছে।
ঘুম থেকে উঠেই পানি পানঃ জাপানে মানুষ ঘুম থেকে উঠেই দুই গ্লাস পানি আগে পান করেন তারপর দিন শুরু করেন। মনেকরা হয় এটি ত্বক তরুন রাখতে এবং এক্সট্রা ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে। কারন এটা মেটাবলিজম এর কাজ কে সক্রিয় এবং দ্রুত করে বলে মনে করা হয় । যদিও এই তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত কিছু নয় তবুও বিশ্বব্যাপী সবাই এই নিয়ম মেনে চলেন ।
আজকে এ পর্যন্তই । আশা করি নিয়ম গুলো অনুসরন করলে উপকার পাবেন। নিজে অনুসরন করুন এবং বন্ধুদের সাথে SHARE করুন। বা কোন প্রশ্ন থাকলে comment সেকশন আপনাদের জন্য উন্মুক্ত। ধন্যবাদ