তথ্য

SSC এবং HSC সার্টিফিকেট সংশোধন এর আবেদন করার নিয়ম

সার্টিফিকেট এর ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি

 

শিক্ষা জীবনে একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হলো তার সার্টিফিকেট বা শিক্ষা সনদ। এটি একটি রাষ্ট্রীয় সনদও বটে কারণ বিভিন্ন চাকরির পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যেমন জন্ম নিবন্ধন তৈরি, ভোটার আইডি কার্ড,  ড্রাইভিং লাইসেন্স,  পাসপোর্ট তৈরি ইত্যাদির জন্য শিক্ষা সনদের প্রয়োজন হয়। এই শিক্ষা সনদটি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকলেও তবে কোনো ভুল ত্রুটি হলে তার জন্য  কিন্তু আপনাকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।

SSC HSC সার্টিফিকেট
সার্টিফিকেট সংশোধন

পূর্বে ব্যাপারটি অনেক কঠিন ছিলো কিন্তু বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে খুব সহজে এর সমাধান বের করা যায়। 

 

 

আজকের এই আর্টিকেল আমরা সার্টিফিকেট বা শিক্ষা সনদের ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো

 

 

 

অনলাইনে সার্টিফিকেট এর তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়াঃ

 

. মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে যেকোনো ব্রাউজারে প্রবেশ করে Education board Dhaka সার্চ করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

 

বিঃদ্রঃ আপনি যে শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন সেই বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। সম্পুর্ণ পদ্ধতি একই হওয়ায় আমরা শুধুমাত্র ঢাকা বোর্ডে উদাহরণ হিসেবে নিয়েছি।

 

. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে On Line Application অপশনে ক্লিক করুন।

 

. পরবর্তী ধাপে “নাম ও বয়স সংশোধন আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন।

 

. “আবেদন ফরম” অপশনে প্রবেশ করুন।

 

. পরবর্তীতে পরীক্ষা, পাশের সন, রোল নাম্বার ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার সাবমিট করে “Find” অপশনে ক্লিক করুন।

 

. পরবর্তী ধাপে আপনি যে পরীক্ষার সনদ সংশোধন করতে ইচ্ছুক তা সিলেক্ট করুন।

 

বিঃদ্রঃ আপনি চাইলে জেএসসি, এসএসসি,  এইসএসসি তিনটি একসাথে সিলেক্ট করতে পারেন অথবা প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো একটি বা দুটি সিলেক্ট করতে পারবেন।

 

. রোল নাম্বার, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও সেশন সাবমিট করে পরবর্তী ধাপে যান।

 

. পরবর্তী ধাপে গিয়ে আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে ইচ্ছুক তা সিলেক্ট করুন।  যেমন আপনার নাম/পিতার নাম / মাতার নাম / জন্মতারিখ অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে সিলেক্ট করুন।

 

বিঃদ্রঃ এইসএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংশোধন করা যায় না, শুধুমাত্র জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে জন্মসাল ও তারিখ সংশোধন করা যায়।

 

. সিলেক্ট করার পর সংশোধিত তথ্য গুলো সাবমিট করুন।

 

১০. জন্ম সনদের স্ক্যনড কপি এটাচ করুন।

 

১১. একটি সচল ফোন নাম্বার ও আবেদনকারীর বর্তমান ছবি সাবমিট করুন।

 

১২. “Cause of Correction” অপশনে গিয়ে সংশোধনের কারণ সিলেক্ট করুন।

 

১৩. সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদানের পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। এতে আপনার আবেদন ফরম তৈরি হয়ে যাবে।

 

১৪. পরবর্তীতে “সোনালী স্লিপ” অপশনে ক্লিক করে মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করে বিকাশ/নগদ/রকেট এর মাধ্যমে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি জমা দিন।

 

১৫. প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করে নিন।

 

১৬. পরবর্তীকালে ২-৩ মাসের মধ্যে আপনাকে বোর্ড হতে কল/মেসেজের মাধ্যমে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে।

 

১৭. সর্বশেষ বোর্ড কর্তৃক সংশোধিত সার্টিফিকেট আপনাকে প্রদান করা হবে।

 

 

 

ইন্টারভিউ বোর্ডে যেসকল  ডকুমেন্টস প্রয়োজনঃ

 

. নোটারি পাবলিক বা এভিডেভিডঃ একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের নিকট গিয়ে এভিডেভিড করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি ২০০ টাকা দামের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প প্রয়োজন যেখানে নোটারি পাবলিক আবেদনকারীর এভিডেভিড করে দিবে।

 

বিঃদ্রঃ আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর হলে নিজের নামেই এভিডেভিড করাতে পারবে আর যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে পিতা মাতার নামে এভিডেভিড করাতে হবে।

 

. জাতীয় পত্রিকার বিজ্ঞাপনঃ এভিডেভিড করানোর পর যেকোনো একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে৷ বিজ্ঞাপনের দেয়ার সময় শিক্ষার্থীর বর্তমান সার্টিফিকেটের তথ্য যেমন নাম, পিতার নাম, মাতার নাম,বোর্ডের নাম, রোল নাম্বার ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার উল্লেখ করে যে বিষয়টি সংশোধন করতে হবে তার সারসংক্ষেপ উল্লেখ করতে হবে৷

 

. অনলাইনে আবেদনকৃত ফরম।

 

. আবেদনকারীর জন্ম সনদ / জাতীয় পরিচয় পত্র।

 

৫. পিতা মাতার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন / জাতীয় পরিচয় পত্র।

 

. আবেদনকারীর এডমিট কার্ড ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি ও মূলকপি।

 

. আবেদনকারীর সার্টিফিকেট

 

উপরোক্ত সম্পুর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে তিন মাসের মত সময় প্রয়োজন হতে পারে এবং তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, নাম ও বয়স একসাথে সংশোধন করা যায় না, দুটোর জন্য আলাদা আলাদা ফরম পূরন করতে হয়।